বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:১২ পূর্বাহ্ন

রাণীশংকৈলের সীমান্তবর্তী পাথরকালির মিলনমেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা

রাণীশংকৈলের সীমান্তবর্তী পাথরকালির মিলনমেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল-হরিপুরের ঐতিহ্যবাহী পাথরকালি ও দুই দেশের মিলনমেলা আগামী শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) হওয়ার কথা রয়েছে। মেলাসহ জনগণের সমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসন। জেলার রাণীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলার চাপাসার তাজিগাঁও সীমান্তের নীভৃত গ্রামে টেংরিয়া গোবিন্দপুর কুলিক নদীর পাড়ে প্রতি বছর এ ঐতিহ্যবাহী পাথরকালির মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে তারকাঁটার দুই পাশে দু’দেশের আত্মীয়স্বজনদেরকে সাক্ষাৎ করার জন্য ওই এলাকাটিতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার নারী-পুরুষের উপস্থিতি হয়। সেখানে হাজার হাজার নারী পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সমাগম ঘটে। ওই স্থানে বিশৃঙ্খলা, মারামারিসহ বিভিন্ন প্রকার অপ্রীতীকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে মর্মে বাংলাদেশ- ভারত সীমান্তবর্তী পাথরকালী মিলনমেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসন। এছাড়াও দুই দেশের বিজিবি ও বিএসএফ এর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মেলা ও কাটাতারের নিকটবর্তী এলাকায় জনসমাগম না হওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

রোববার (১ ডিসেম্বর) রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক ফেরিফাইড পেইজে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি মারফত এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সেই সাথে সেদিন ওই মেলায় কাউকে না যাওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

প্রসঙ্গত: জানা গেছে কয়েক যুগ ধরে হরিপুর-রাণীশংকৈল উপজেলার সীমান্তবর্তী কুলিক নদীর ধারে কালীপূজা আয়োজন করে আসছেন হিন্দুধর্মাবলম্বীরা। শুরুতে এখানে একটি বড় কষ্টিপাথর দিয়ে তৈরি করা কালীর মূর্তিতে পূজা উদ্যাপিত হতো। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সেই মূর্তিটি চুরি হয়ে যায়। এরপর পাথরের মূর্তির আদলে আরেকটি মূর্তি তৈরি করে প্রতিবছর কালীপূজার আয়োজন করা হয়। ওই এলাকায় বসে মেলা। পাথরের নির্মিত মূর্তির নাম অনুসারে মেলার নামকরণ হয় পাথরকালীর মেলা। এদিন সকাল থেকে এপারের শত শত মানুষ ভারতীয় স্বজনের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতে ভিড় করতে শুরু করেন নদীর বাঁধের ওপর।

এদিকে মুঠোফোনে চলে ভারতে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে বাংলাদেশীদের যোগাযোগ। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নদী পেরিয়ে কাঁটাতারের বেড়ার পাশে যেতে শুরু করেন নারী-পুরুষ-শিশু। দুই তিন ঘণ্টাব্যাপী দুই বাংলার হাজার হাজার মানুষ স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতে মিলিত হন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com